পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

চারঘাটের নদ-নদী, ১ম পর্বঃ গঙ্গা/পদ্মা নদী (Ganges/Padma River)

ছবি
ব্লগ লিখেছেনঃ মোঃ আরিফুল ইসলাম অভি #নিরিবিলি পদ্মাঃ উৎসঃ হিমালয়ের গাঙ্গেত্রী উপত্যকা মোহনাঃ বঙ্গোপসাগর  হিমালয়ের গাঙ্গেত্রী উপত্যকা থেকে জন্ম নিয়ে গঙ্গা হরিদ্বারের নিকট এসে সমতল স্পর্স করেছে। আসলে গাঙ্গেত্রী উপত্যকা থেকে বয়ে আসা জলধারা/নদীটি ভাগীরথী নামে পরিচিত। এটিকে গঙ্গার উৎপত্তি স্থল বলা হলেও মূল গঙ্গার জন্ম মূলত ভাগীরথী আর আলকানন্দা নদীর সঙ্গমস্থল থেকে। এখানে আলকান্দা ভাগীরথীর চেয়ে অনেক বড় নদী। অলকানন্দার উৎসস্থল  নন্দাদেবী,  ত্রিশূল ও  কামেট শৃঙ্গের বরফগলা জল। গঙ্গার জলের উৎস অনেকগুলি ছোট নদী। এর মধ্যে ছটি দীর্ঘতম ধারা এবং গঙ্গার সঙ্গে তাদের সঙ্গমস্থলগুলিকে হিন্দুরা পবিত্র মনে করে। এই ছটি ধারা হল অালকানন্দা, ধৌলীগঙ্গা, নন্দাকিনী, পিণ্ডার, মান্দাকিনী ও ভাগীরথী । পঞ্চপ্রয়োগ নামে পরিচিত পাঁচটি সঙ্গমস্থলই অলকানন্দার উপর অবস্থিত।  ছবিতে আলকানন্দা আর ভাগীরথীর সঙ্গমস্থল দেখানো হয়েছে। ডান পাশের নদীটি আলকানন্দা আর বাম পাশের নদীটি ভাগীরথী। গঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের কিছু পূর্বে তার প্রধান শাখা নদী ভাগীরথীর জন্ম দেয়। এরপর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকাসা

চারঘাটের নদ-নদী, ৫ম পর্বঃ মুসা খান নদ/নদী (Musa Khan River)

ছবি
উৎসঃ বড়াল নদ মোহনাঃ বারনাই নদী মুসা খান নদ বড়ালের একটি শাখা নদী।   Charghat Students' Welfare Association

চার মাথার খেজুর গাছ, ঝিকড়া, সরদহ ইউনিয়ন

ছবি
Charghat Students' Welfare Association ছবি পাঠিয়েছেনঃ মোঃ মতিউর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী/একাডেমি, সারদা (Bangladesh Police Academy)

ছবি
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী, সারদাঃ বঙ্গ ভঙ্গের পর বাংরা আর আসাম প্রদেশের জন্য একটি পৃথক পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের প্রয়োজন দেখা দেয়। প্রদেশের রাজধানীর সাথে কলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল ছিল না বলে ঢাকায় সেটি নির্মাণ কারার পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়। মেজর চামনী স্থান নির্ধারণের জন্য নৌ পথে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। অবশেষে চারঘাটের স্টীমার ঘাটে এসে পৌছালে তিনি একানকার পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হন। সারি সারি আম গাছ আর ডাচদের স্থাপত্য তাঁকে আকৃষ্ট করে। নীল ব্যবসায়ীরা এখানে তাদের ব্যবসার জন্য অনেক ভবন নির্মাণ করেছিল। ১৮৩৫ সাল থেকে এখানে রবার্ট ওয়াটসন এন্ড কোম্পানীর ব্যবসায়ীক দপ্তর ছিল। সব মিলিয়ে তাঁর রাজশাহ জেলা শহর থেকে ২০ মাইল দূরে অবস্থিত সারদা স্থানটিকে বেশ মনে ধরে।  তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছে এখানে পুলিশ সেন্টার নির্মাণের সুপারিশ করেন। তখন ভারতের ভাইসরয় ছিলেন লর্ড হার্ডিঞ্জ। ১৯১০ সালে মেদীনিপুর এস্টেটের কাছ থেকে ব্রিটিশ সরকার ১৪২.৬৬ একর সম্পত্তি ২৫০০ টাকায় কিনে নেয়। ১৯১২ সালের জুরাই মাসে শুরু হয় একাডেমীর কাজ। মেজর চামনী ছিলেন প্রথম প্রিন্সিপ্যাল। ২০০ আসন বিশিষ্ট কু

চারঘাটের নদ-নদী, ৩য় পর্বঃ নারদ নদ/ নারদ নদী (Narad River)

ছবি
নারোদ নদঃ উৎসঃ পদ্মা (গঙ্গা) নদী মোহনাঃ আত্রাই নদী নারদ / নারন্দম পদ্মার অন্যতম শাখা নদী। পূর্বে পদ্মা/মহানন্দার প্রবাহ নারোদ দিয়ে পুঁঠিয়া, নাটোর,চাপিলা হয়ে ঢাকা; অতপর সাগরে পতিত হত। চারঘাটের শাহপুরে নারদের উৎস মুখ। রাজশাহীর কালেক্টর রেনেলের নকশায় দেখা যায় নারোদ পাবনায় বড়ালের সাথে মিলিত হয়ে ঢাকার জাফরগঞ্জ (মানিকগঞ্জ) পর্যন্ত প্রবাহিত। পরে এই ধারাটি ধলেশ্বরীর ভিতর দিয়ে মেঘনা খাড়িতে গিয়ে মিশেছে। অতপর চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে বঙ্গপোসাগরে পতিত হয়েছে। আজকের বুড়িগঙ্গা পদ্মার সেই প্রাচীন খাত। রেনেল নারদকে পদ্মার প্রাচীন খাত বলেছেন। কোন এক সময় গঙ্গা চলন বিলের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হত বলে প্রায় সব নদী গবেষক ও ঐতিহাসিক এক হয়েছেন। জেমস রেনেল নারদকেই গঙ্গার চলন বিলগামী প্রাচীন খাত হিসেবে অবহিত করেছেন।  পূর্বে চলন বিল এলাকায় আত্রাই, করতোয়া, হুরাসাগর সহ উত্তর বঙ্গের অনেক নদী গঙ্গায় এসে মিশত। এই সব নদী এখন বড়াল অথবা নারদের সাথে এসে মিশছে। সেই হিসাবে নারদ বড়ালের চেয়েও প্রাচীন কারন ১৬৬০ সালে ব্রেকেনের ম্যাপে বড়ালকেই গঙ্গা হিসেবে দেখানো হত। নারদ এক সময় খরস্রোতা নদী ছিল। নারদের মোট তিনটি প্রবাহ। প্রথম প্রব