পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

চারঘাটের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/আদিবাসী সম্প্রদায়

ছবি
নব পলল দ্বারা গঠিত রাজশাহীর চারঘাটের বেশির ভাগ মাটি। হিন্দু-মুসলমানদের পাশাপাশি কিছু সাঁওতাল-পাহাড়িয়ার বাস আমাদের চারঘাটে। বরেন্দ্র অঞ্চলে বাংলার বেশ কিছু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের বাস। চারঘাটের সাঁওতাল-পাহাড়িয়া-তুরিরা কবে থেকে চারঘাট অঞ্চলে বসবাস করছেন, তার সঠিক কোন ধারণা পাওয়া বেশ কঠিন। তাঁদের আদি নিবাস বরেন্দ্র অঞ্চলে নাকি ভারতের বিহার রাজ্য থেকে তাঁরা এসেছেন, তার হিসার মেলাও দায়। চারঘাটে সব মিলিয়ে ৮৫২ জনের মত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের লোকের বাস (২০১৮).  চারঘাট, নিমপাড়া ও শলুয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে তাঁদের বাস। নিজেদের আত্নপরিচয় ভুলে এখন তাঁরা হিন্দু পরিচয়ে পরিচিত হতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। চারঘাট উপজেলায় মোট ২৩২ টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টী পরিবার আছে। চারঘাট ইউনিয়নের পরানপুর আর হ্যারিনি পাড়ায় থাকেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের কিছু পরিবার। পরানপুরে মোট ২৭ ঘর সাঁওতালের বাস। নিজেদের সনাতন ধর্মের অনুসারী বলে পরিচয় দিয়েছেন তাঁরা। হিন্দু ধর্মের দেব-দেবীই তাঁদের উপাস্য। নিজস্ব ভাষার কোন প্রচলন নেই, নেই কোন সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য। অন্যের জমিতে তাঁদের বাস। মাত্র তিনটি পরিবারের নিজস্ব

পুরাতন নন্দনগাছীর চৈত্র সংক্রান্তির মেলা

ছবি
চারঘাটের অনার্য সম্প্রদায়ের যে সংস্কৃতিটি এখনো স্বগর্বে টিকে আছে সেটা হল চৈত্র সংক্রান্তির মেলা। ঠিক কত বছর ধরে এই মেলার প্রচলন তার কোন তথ্য পাওয়া মুশকিল। তবে চারঘাটের বড়াল পাড়ের এই মেলাটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় চৈত্র সংক্রান্তির মেলা ছিল বলে জানা যায়। চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের জোত কার্তিক বিএন স্কুল মাঠে প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে েরর আয়োজন করা হয়। আরো দু এক জায়গায় এর আয়োজন হলেও এটাই মূল চৈত্র সংক্রান্তির মেলা। বেশ জাঁক জমক ভাবেই আয়োজন করা হয় এই মেলার। এই মেলার আয়োজন করে থাকে স্থানীয় কুটিপাড়ার বাসিন্দারা,যারা নাকি সবাই অনার্য। তারা মূলত তুরি সম্প্রদায়ের। এই মেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ষষ্ঠী সর্দার আর সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ। প্রতি বছর তারা চাঁদা তুলে মেলা আর পূজার আয়োজন করে থাকে। টাকার পরিমাণ দাড়ায় ৫০০০/৬০০০ টাকা। কোন অনুদান পাওয়া যায় না বলে মেলা কমিটির সভাপতি আমাদের জানান। মেলার মূল আকর্ষন হল চড়ক গাছে সন্ন্যাসীর শলাকা বিদ্ধ ঘূর্ণন। সন্ন্যাসীরা তিন দিন আগে থেকে নিরামিষ খেয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রকার ফল- মূল তাদের খাবারের তালিকায় স্থান করে নেয়। চড়ক পূজার আগের দিন থেকেই

সরদহের নামকরণের ইতিহাস

এক সময় এই অঞ্চলেরর বেশিরভাগ অংশ জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। নবাব মুর্শিদকুলী খানের সময় বর্গীরা বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন স্থান আক্রমণ করে। তখন নবাবের অনেক অনুগত সেনা ও সাধারণ নাগরিক সারদা অঞ্চলে তাবু গেড়ে আশ্রয় নেয়। ফারসী ভাষায় তাবুকে শের বলে। শের থেকে ‘শেরদহ’। এই শেরদহ থেকে ‘সরদহ’ নামটি আসে। এই মতবাদটি মোটামুটি প্রহনযোগ্য একটি মতবাদ। তারপরে সরদহ এলাকায় আবার ডাচ, ইংরেজ সহ বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানি এই অঞ্চলে তাদের নীল ও রেশম কুঠি স্থাপন করে। তখন এই স্থানটি ছিল রাজশাহী/লস্করপুর পরগণা অঞ্চলের রেশম কুঠির সদর দপ্তর। তখন সবাই এই স্থানকে ‘সদর দহ’ বলে ডাকতে থাকে। সেই ‘সদর দহ’ এর অপভ্রশই হল ‘সরদহ’ বা ‘সারদা’। এই মতবাদটি সবচেয়ে প্রহনযোগ্য ও বিশুদ্ধ একটি মতবাদ। ঐতিহাসিক বিচারে এটিই হল সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য মতবাদ। আরেকটি মতবাদ আছে- পদ্মার পলি দ্বারা গঠিত হওয়ার কারণে নদী সংলগ্ন অনেক স্থানে ঘন জঙ্গল ছিল। এখান বাঘ সহ অন্যান্য প্রাণী বাস করত। ‘শের’ অর্থ বাঘ আর ‘দহ’ অর্থ স্থান। পরে এখানে বসতি স্থাপিত হলে ‘শেরদহ’ থেকে সরদহ নামের উৎপত্তি। তবে এই মতবাদটি সবচেয়ে দূর্বল মতবাদ। কারণ, আগে প্রায় সব জঙ্গলেই বাঘ