সরদহের নামকরণের ইতিহাস
এক সময় এই অঞ্চলেরর বেশিরভাগ অংশ জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। নবাব মুর্শিদকুলী খানের সময় বর্গীরা বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন স্থান আক্রমণ করে। তখন নবাবের অনেক অনুগত সেনা ও সাধারণ নাগরিক সারদা অঞ্চলে তাবু গেড়ে আশ্রয় নেয়। ফারসী ভাষায় তাবুকে শের বলে। শের থেকে ‘শেরদহ’। এই শেরদহ থেকে ‘সরদহ’ নামটি আসে। এই মতবাদটি মোটামুটি প্রহনযোগ্য একটি মতবাদ। তারপরে সরদহ এলাকায় আবার ডাচ, ইংরেজ সহ বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানি এই অঞ্চলে তাদের নীল ও রেশম কুঠি স্থাপন করে। তখন এই স্থানটি ছিল রাজশাহী/লস্করপুর পরগণা অঞ্চলের রেশম কুঠির সদর দপ্তর। তখন সবাই এই স্থানকে ‘সদর দহ’ বলে ডাকতে থাকে। সেই ‘সদর দহ’ এর অপভ্রশই হল ‘সরদহ’ বা ‘সারদা’। এই মতবাদটি সবচেয়ে প্রহনযোগ্য ও বিশুদ্ধ একটি মতবাদ। ঐতিহাসিক বিচারে এটিই হল সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য মতবাদ। আরেকটি মতবাদ আছে- পদ্মার পলি দ্বারা গঠিত হওয়ার কারণে নদী সংলগ্ন অনেক স্থানে ঘন জঙ্গল ছিল। এখান বাঘ সহ অন্যান্য প্রাণী বাস করত। ‘শের’ অর্থ বাঘ আর ‘দহ’ অর্থ স্থান। পরে এখানে বসতি স্থাপিত হলে ‘শেরদহ’ থেকে সরদহ নামের উৎপত্তি। তবে এই মতবাদটি সবচেয়ে দূর্বল মতবাদ। কারণ, আগে প্রায় সব জঙ্গলেই বাঘ থাকত। ফলে একটি নির্দিষ্ট স্থানকে `শেরদহ' বলার কোন কারণ থাকতে পারে ন। ইংরেজরা sardah থেকে hবাদ দিয়ে শুধু সারদা (sarda) বলে ডাকতে থাকলে এই অঞ্চলের নাম `সারদা' হয়ে যায়।
১৮২১ থেকে ১৮২৫ পর্যন্ত সরদহ রাজশাহী জেলার সদর ছিল। ১৮২১ সালে নারদ নদীতে পলি জমে নাব্যতা সঙ্কট দেখা দিলে রাজধানী কলকাতার সাথে রাজশাহীর সদর দপ্তর ‘নাটোরে’র যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ইংরেজরা নাটোর থেকে রাজশাহী সদর দপ্তর ও বিচারিক কার্যালয় ‘সারদা’তে স্থানান্তর করে আনে। ৪ বছর সারদাতে রাজশাহীর সদর দপ্তর থাকার পর ইংরেজরা ‘বোয়ালিয়া’ বন্দরকে রাজশাহী সদর বলে ঘোষণা করেন। ঠিক কি কারণে সারদাকে বাদ দিয়ে বোয়ালিয়াকে রাজশাহী জেলার সদর দপ্তর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেটা এখনো রহস্যাবৃত।
সরদহ নামের জনপদের সৃষ্টি হয়েছে আজ থেকে প্রায় ৩০০-৩৫০ বছর পূর্বে। তার আগে এই জনপদ 'বড়াল' (গঙ্গা) নদীর গর্ভে নিমজ্জিত ছিল। ১৬৬০ সালের পর, পরবর্তী ১০০ বছরের মধ্যে সরদহের বেশির ভাগ জনপদ দৃশ্যমান হয়। এ সময় বড়াল নদীর উৎস মুখে পলি পরলে 'থানাপাড়া ও কুটিপাড়া' গ্রামের সৃষ্টি হয়। নদীর প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে নদী ছোট হয়ে যায় আর অসংখ্য বিলের সৃষ্টি হয়। বর্ষাকালে নদীর পলি দ্বারা এসব বিলের অপেক্ষাকৃত উচ্চ ভূমি গুলি আস্তে আস্তে বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠে। আজকের 'ঝিকড়া' ও 'বালিয়াডাঙ্গা' গ্রাম সহ অসংখ্য গ্রাম এভাবেই তৈরি হয়েছে।
১৮২১ থেকে ১৮২৫ পর্যন্ত সরদহ রাজশাহী জেলার সদর ছিল। ১৮২১ সালে নারদ নদীতে পলি জমে নাব্যতা সঙ্কট দেখা দিলে রাজধানী কলকাতার সাথে রাজশাহীর সদর দপ্তর ‘নাটোরে’র যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ইংরেজরা নাটোর থেকে রাজশাহী সদর দপ্তর ও বিচারিক কার্যালয় ‘সারদা’তে স্থানান্তর করে আনে। ৪ বছর সারদাতে রাজশাহীর সদর দপ্তর থাকার পর ইংরেজরা ‘বোয়ালিয়া’ বন্দরকে রাজশাহী সদর বলে ঘোষণা করেন। ঠিক কি কারণে সারদাকে বাদ দিয়ে বোয়ালিয়াকে রাজশাহী জেলার সদর দপ্তর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেটা এখনো রহস্যাবৃত।
সরদহ নামের জনপদের সৃষ্টি হয়েছে আজ থেকে প্রায় ৩০০-৩৫০ বছর পূর্বে। তার আগে এই জনপদ 'বড়াল' (গঙ্গা) নদীর গর্ভে নিমজ্জিত ছিল। ১৬৬০ সালের পর, পরবর্তী ১০০ বছরের মধ্যে সরদহের বেশির ভাগ জনপদ দৃশ্যমান হয়। এ সময় বড়াল নদীর উৎস মুখে পলি পরলে 'থানাপাড়া ও কুটিপাড়া' গ্রামের সৃষ্টি হয়। নদীর প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে নদী ছোট হয়ে যায় আর অসংখ্য বিলের সৃষ্টি হয়। বর্ষাকালে নদীর পলি দ্বারা এসব বিলের অপেক্ষাকৃত উচ্চ ভূমি গুলি আস্তে আস্তে বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠে। আজকের 'ঝিকড়া' ও 'বালিয়াডাঙ্গা' গ্রাম সহ অসংখ্য গ্রাম এভাবেই তৈরি হয়েছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ। এত দারুণ তথ্যবহুল লেখা দিয়ে উপকার করার জন্য। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।
উত্তরমুছুনচারঘাট উপজেলা নামকরণের ইতিহাস
উত্তরমুছুনআপনাদের ধন্যবাদ, তবে ব্লগটা এখনো সম্পূর্ণ হয়নি।
উত্তরমুছুন