পোস্টগুলি

মে, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

চারঘাটের নদ-নদী, ৪র্থ পর্বঃ বড়াল নদ/ বড়াল নদী (Baral River)

ছবি
উৎস মুখে বড়াল চারঘাট উৎসঃ গঙ্গা (পদ্মা) নদী মোহনাঃ যমুনা নদী চারঘাটের সবচেয়ে জীবন ঘনিষ্ঠ নদীর নাম হল বড়াল। বড়াল নামটি এসছে ‘বড় হর’ কিংবা ‘বড় হাওর’ থেকে। পদ্মার বড় নদী বলেই সবাই বড়ালকে এই নামে ডাকত। অবশ্য কয়েকশত বছর পূর্বে পদ্মার মূল স্রোত বড়াল দিয়ে প্রবাহিত হত বলে প্রমাণ মিলেছে। ১৬৬০ সালের ভান ডেন ব্রুকের ম্যাপ থেকে দেখা যায় যে, সরদহের নিকট গঙ্গা ও মহানন্দা চূড়ান্তভাবে মিলিত হয়েছে। এরপর মিলিত ধারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে একটি দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বাঘার দিকে অগ্রসরমান এই নদীকে পদ্মা বলা হত। আর আরেকটি ধারা পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে থাকে। বিশাল এই জলধারা তখনকার দিনে ‘গঙ্গা’ নামে চলন বিলের মধ্য দিয়ে ‘ধলেশ্বরী’ ও ‘বুড়িগঙ্গা’ খাত দিয়ে ঢাকার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। পরে এটি চট্টগ্রামের কাছে গিয়ে ‘ব্রহ্মপুত্রের’  সাথে মিশে বঙ্গপোসাগরে পতিত হত। বর্তমান নরসিংদী জেলায়  অবস্থিত ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার মিলিত ধারার সাথে মূলত বড়াল মিলিত হত। এটিই আমাদের আলোচ্য ‘বড়াল’ নদ। পরে গঙ্গার দিক পরিবর্নের ফলে এই ধারাটি ক্রমশ ছোট হতে থাকে এবং তখন থেকেই চলন বিলের সৃষ্টি হতে থাকে। বড়ালের মৃত খাত গুলি

চারঘাটের পালপাড়া

ছবি
চারঘাটের পালপাড়ায় বসবাস করে আসছে পাল সম্প্রদায়ের লোক । সরদহ ইউনিয়নের অন্তর্গত খোর্দ গোবিন্দপুর গ্রামে প্রায় ৭ টি পার পরিবার বসবাস করছে। মাত্র তিনটি পরিবার পিতৃপুরুষের পেশা ‘মৃৎশিল্পের’ কাজ করছে । বাকিরা সব পেশা পরিবর্তন করে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছে । এখানে প্রায় একশ হিন্দু পরিবারের লোক বসবাস করছে। মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত প্রবীণ নন্দ কিমোর পাল জানান, একানে আগে প্রায পঁঞ্চাশ ঘর পাল সম্প্রদায়ের লোক ছিল। মাটির তৈজসপত্র বানানো ছিল তাদের প্রধান পেশা। তাদের অনেকে এখন বারত চলে গেছে। কেউবা আবার অন্যত্র বসতি স্থাপন করেছে। তিনি বাদে পাল পাড়ার ফিতেন পাল আর গৌরাঙ্গ চন্দ্র পাল এই কাজের সাথে জড়িত আছেন। তারা গেরোস্ত কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন তৈজসপত্রের পাশাপাশি চারঘাটের বিক্যাত‘কালু পীরের মেলা’র জন্য জিনিস তৈরি করেন। এখন অবশ্য তারা হাতে মাটির জিনিস তৈরি করছে। হাতে তৈরি টব, খয়েরের পাত্র, হাউজের পাট, হাড়ি, কলস, ঢুকসা ইত্যাদি স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে।   Charghat Students' Welfare Associatio n  ব্লগ লিখেছেনঃ ম োঃ আরিফুল ইসলাম অভি

শলুয়ার দহ

ছবি
Charghat Students' Welfare Association শলুয়া ইউনিয়ন কার্যালয়ের পাশে অবস্থিত শলুয়ার বিখ্যাত দহ। সারা বছর পানি থাকে দহে। এটি উপজেলা পরিষদ দেখাশুনা করে। ডাকের মাধ্যমে স্থানীয়দের কাছে লিজ দেওয়া হয়। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা এখানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে। শলুযার দহ পূর্বে নারদের প্রবাহ ছিল। নারদ মজে গেলে এটি দহে পরিণত হয়।    

নিরিবিলি; সম্পাদকঃ আরিফুল ইসলাম অভি

ছবি
নিরিবিলি   সম্পাদকঃ  মোঃ আরিফুল ইসলাম অভি  চেনা চারঘাট নতুন করে চেনা ১৮-নভেম্বর-২০১৬ চারঘাট ছাত্র কল্যাণ পরিষদ                                         প্রতিষ্ঠাকাল-২০১৫ Charghat Students' Welfare Association এক নজরে আমাদের চারঘাটঃ রাজশাহী জেলা সদর থেকে প্রায় ৩২ কিরোমিটার দূরে পদ্মা ও বড়ালের কোল ঘেষে চারঘাটের অবস্থান। চারঘাট উপজেলা ২৪.২৭ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ হতে ২৫.৪৩ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.১৭ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশ হতে ৮৮.২৫ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। ১৯১৯ সালে থানার মর্যাদা পাওয়া চারঘাট ১৯৮৩ সালে উপজেলায় পরিণত হয়। মোট জনসংখ্যা ১৮৩৯২১ জন। পুরুষ ৯৪৯৮৬ জন আর নারী ৮৮৯৩০ জন। শিক্ষার হার ৬৪%। হলেজের সংখ্যা ১২। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ১৪টি, নিম্ন মাধ্যমিক ১৪টি আর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪৪টি। কিন্ডার গার্ডেন ৫টি। মোট মাদরাসা ১১টি (দাখিল ৭, ফাযিল ২টি আলীম ১টি)। টেকনিকাল কলেজ ২টি এবং টেকনিকাল স্কুল আর কলেজ ৩টি