পোস্টগুলি

জুন, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রাচীন চারঘাটের ঘাট সমূহ

ছবি
নিরিবিলি ব্লগ লিখেছেন: মো: আরিফুল ইসলাম অভি Charghat Students' Welfare Association প্রায় ৫০০-৬০০ বছর পূর্বে পদ্মা আরো প্রায় ১০ কিমলোমিটার পশ্চিমে প্রবাহিত হত। রাজশাহীর পাশ দিয়ে বয়ে যেত মহানন্দা নদ। সারদার কাছে এসে পদ্মা আর মহানন্দার মিলন ঘটে। মিলিত ধারা পদ্মা নাম নিয়ে বড়ালের প্রবাহ পথে প্রবাহিত হতে থাকে। পদ্মা-মহানন্দার কাছে গড়ে উঠেছিল ছয়টি ঘাট। এর মধ্যে স্টীমার ঘাট, থানা ঘাট, ঠাকুর বাড়ির  ঘাট ও বাবুলালের ঘাটের নামে চারঘাট নাম করণ করা হয়।  স্টীমার ঘাটঃ চারঘাট বাজার থেকে প্রায ৩ কিলোমিটার দূরে চন্দন শহরে স্টীমার ঘাট ছিল। মূল চন্দন শহরের বেশির ভাগ অংশ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এই ঘাটে বড় বড় স্টীমারে করে পাট সহ অনান্য মালামাল আনা নেওয়া হত। মানুষও যাতায়াত করত এই পথ ধরে। জৈনক ব্রাহ্মণের নামে এই ঘাটের নাম করণ করা হয়। পূর্বে এই স্থান দিয়ে ‘চনন্দনা’ নামের পদ্মার একটি শাখা নদী বের হয়েছিল। পূর্বে চন্দন শহরে ব্রহ্মণ শ্রেনীর লোকের বাস ছিল। স্টীমার ঘাটের টিকেট মাস্টার ছিলেন জগন্নাথ নামক এক ব্রহ্মণ। সারদার হেমন্তর মোড়ে হেমন্ত বাবুর যে পরিত্যক্ত সম্পত্তি দেখা যায় সেগুলা সব জগন্নাথ ব

চারঘাট ছাত্র কল্যাণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন আরিফুল ইসলাম অভি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন

ছবি
চারঘাট ছাত্র কল্যাণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন আরিফুল ইসলাম অভি আর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছেন সাব্বির হোসেন। সংগঠনের নিয়মিত সভাপতি ও সহ-সভাপতিগণ অনুপস্থিত থাকায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব নেন চারঘাট ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অভি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী। অভির  জন্ম সারদা থানাপাড়া গ্রামে। ২০০৮ সালে এসএসসি ও ২০১০ সালে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটে ১৪৪ তম স্থান লাভ করেন। তিনি চারঘাট ছাত্র কল্যাণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারন সম্পাদক ছিলেন। সাব্বির হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী শিক্ষা  বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী। একজন নিষ্ঠাবান, কর্মঠ ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে তিনি ক্যাম্পাস আর তার নিজ এলাকা চারঘাটে পরিচিত। ২০১২ সালে সরদহ সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সাব্বির এএসসি পাস করেন। সেবার তিনি রাজশাহী বোর্ডে ২য় অবস্থান লাভ করেন। সাব্বিরের বাড়ি শলুয়া ইউনিয়নের বামনদীঘি গ্রামে।   Charghat Students' Welfare Association

চারঘাটের নদ-নদী, ২য় পর্বঃ মহানন্দা নদ/ মহানন্দা নদী (Mahananda River)

ছবি
মহানন্দা একটি সুপ্রাচীন নদী। মহাভারতেও এর উল্লেখ আছে। এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গঙ্গার একমাত্র উপনদী। চারঘাট নামক স্থানে এখন এর কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ ৫০০-৬০০ বছর পূর্বে চারঘাটের বুক চিরে বয়ে যেত মহানন্দা নদ। পঁঞ্চাদশ শতাব্দীতে পদ্মার অবস্থান আরো ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে ছিল। পদ্মা তখন এত বিশাল নদী ছিল না। তখন পদ্মার বর্তমান প্রবাহ পথে প্রবাহিত হত মহানন্দা। মহানন্দা আর গঙ্গার মিলন স্থল ছিল সারদার নীচে। মিলিত ধারা ‘গঙ্গা’ নাম ধারণ করে বড়ালের প্রবাহ পথে প্রবাহিত হত। আর দক্ষিণ দিকের সুপ্রশস্ত ধারাটি ‘পদ্মা’ নামে প্রবাহিত হত। সোজা কথায় বলতে গেলে চারঘাটের নিকট এসে গঙ্গা ‘পদ্মা’ নাম ধারণ করেছিল।   ক্রমাগত উত্তর দিকে সরে আসায় মহানন্দার এই ধারাটি পদ্মার মাঝে বিলিন হয়ে যায়। অষ্টাদশ শতাব্দীতে পদ্মা-মহানন্দার মিলন স্থল ছিল বোয়ালিয়ার কাছে। বর্তমানে মহানন্দা গোদাগাড়ির কাছে গঙ্গায় এসে মিলেছে। বর্তমানে চারঘাটে মহানন্দার কোন অস্তিত্ব নাই। থানাপাড়ার চরে গেলে পদ্মা আর বড়ালের মাঝে একটি ক্যানেল নজরে আসে এটিই মহানন্দার রেখে যাওযা শেষ চিহ্ন। প্রথম চিত্রটি মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জনাব শাহ