চারঘাটের নদ-নদী, ২য় পর্বঃ মহানন্দা নদ/ মহানন্দা নদী (Mahananda River)
মহানন্দা একটি সুপ্রাচীন নদী। মহাভারতেও এর উল্লেখ আছে। এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গঙ্গার একমাত্র উপনদী। চারঘাট নামক স্থানে এখন এর কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ ৫০০-৬০০ বছর পূর্বে চারঘাটের বুক চিরে বয়ে যেত মহানন্দা নদ। পঁঞ্চাদশ শতাব্দীতে পদ্মার অবস্থান আরো ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে ছিল। পদ্মা তখন এত বিশাল নদী ছিল না। তখন পদ্মার বর্তমান প্রবাহ পথে প্রবাহিত হত মহানন্দা। মহানন্দা আর গঙ্গার মিলন স্থল ছিল সারদার নীচে। মিলিত ধারা ‘গঙ্গা’ নাম ধারণ করে বড়ালের প্রবাহ পথে প্রবাহিত হত। আর দক্ষিণ দিকের সুপ্রশস্ত ধারাটি ‘পদ্মা’ নামে প্রবাহিত হত। সোজা কথায় বলতে গেলে চারঘাটের নিকট এসে গঙ্গা ‘পদ্মা’ নাম ধারণ করেছিল। ক্রমাগত উত্তর দিকে সরে আসায় মহানন্দার এই ধারাটি পদ্মার মাঝে বিলিন হয়ে যায়। অষ্টাদশ শতাব্দীতে পদ্মা-মহানন্দার মিলন স্থল ছিল বোয়ালিয়ার কাছে। বর্তমানে মহানন্দা গোদাগাড়ির কাছে গঙ্গায় এসে মিলেছে। বর্তমানে চারঘাটে মহানন্দার কোন অস্তিত্ব নাই। থানাপাড়ার চরে গেলে পদ্মা আর বড়ালের মাঝে একটি ক্যানেল নজরে আসে এটিই মহানন্দার রেখে যাওযা শেষ চিহ্ন। প্রথম চিত্রটি মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জনাব শাহরিয়ার আলমের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া। এখানে মহানন্দার মৃত খাতটি সুন্দরভাবে বোঝা যাচ্ছে।
Charghat Students' Welfare Association
ব্লগ লিখেছেন মোঃ আরিফুল ইসলাম অভি
কৃতজ্ঞতা প্রকাশঃ
রাজশাহীর ইতিহাস-কাজী মোঃ মিছের
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন