চারঘাটের নদ-নদী, ৫ম পর্বঃ মুসা খান নদ/নদী (Musa Khan River)
উৎসঃ বড়াল নদ
মোহনাঃ বারনাই নদী
মুসা খান নদ বড়ালের একটি শাখা নদী।
Charghat Students' Welfare Association
নাটোরের বাগাতিপাড়ার হাঁপানিয়া থেকে উৎপত্তি হয়ে নদীটি ত্রিমহনী, পকেটখালি, চারঘাটের ওমর গাড়ি দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। উৎস থেকে নদীটি চারঘাট-বাঘাতিপাড়ার সীমানা বরাবর প্রবাহিত হচ্ছে। পূর্বে এটি নারদ আর বড়ালের সংযোগ রক্ষাকারী একটি খাল ছিল। পরে ১৮৩৮ সালে পদ্মার বন্যায় এর বিস্তৃতি ঘটতে থাকে। আর এভাবেই নদীর মর্যাদা পায় মাসা খান খাল। শোনা যায় বার ভূঁইয়াদের নেতা ঈসা খানের পুত্র মুসা খান নৌ চলাচলের উদ্দেশ্যে এই খাল খনন করেন। মুসা খান নদ ঝলমলিয়া বাজারের নিকট নারদের সাথে মিলিত হয়েছে। মিলিত ধারা আরো কিছুদূর অগ্রসর হয়ে হোজা নদীর সাথে মিলিত হয়। তারপর মিলিত ধারা গদাই নাম ধারণ করে আদি গ্রাম চন্দ্রকোলার দিকে ধাবিত হয়। অতপর গদাই নামে বারনই নদীতে পতিত হয়। মুসা খান নদ থেকে নারদের দ্বিতীয় প্রবাহটি বের হয়ে নাটোরের দিকে ধাবিত হয়েছে।
রাজশাহীর সর্বশেষ মৃত নদীর নাম মুসা খান নদ। বর্তমানে মুসা খানের অবস্থা বেশ সঙ্গিন। চারঘাটে বড়ালে স্লুইচ গেট দেওয়ার আগে মুসা খান ছিল উত্তাল। কিছু দিন পূর্বেও মুসা খানের উত্তালতার নিদর্শন দেখেছে এলাকাবাসী। উৎস মুখ ত্রিমহনীতে আরেকটি স্লুইচ গেট দিয়ে মুসা খানের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। পূর্বে নদে বড় বড় নৌকা চলত। বছর ত্রিশেক আগেও মুসা খান সচল নদী ছিল। সরকারের ভুল নীতি মুসা খানের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও মুসা খান আর নারদে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা যায়নি। উল্লেখ্য নারদে পানি প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষে কয়েক বছর আগে মুসা খান খনন করা হয়। বড়াল হয়ে পানি মুসা খানে আসবে। পরে সেই পানি যাবে নারদে। কিন্তু নদী খননের পরেও বাধঁ অপসরণ না করায় মুসা খানে আর বড়ালে পানি যাচ্ছে না। শুধু বর্ষা কালের বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে কিছু দিন কাজে লাগানো হচ্ছে। আবার নদী খননের সময় নদীর আকার গিনিপিগ বানানো হয়েছে। দখলদারদের সুবিধা প্রদানের লক্ষেই এই কার্যক্রম চালানো হয়েছে।
ব্লগ লিখেছেনঃ মোঃ আরিফুল ইসলাম অভি
#নিরিবিলি
কৃতজ্ঞতা প্রকাশঃ
রাজশাহীর ইতিহাস; কাজী মোঃ মিছের
আমার পুঠিয়া
মোহনাঃ বারনাই নদী
মুসা খান নদ বড়ালের একটি শাখা নদী।
Charghat Students' Welfare Association
নাটোরের বাগাতিপাড়ার হাঁপানিয়া থেকে উৎপত্তি হয়ে নদীটি ত্রিমহনী, পকেটখালি, চারঘাটের ওমর গাড়ি দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। উৎস থেকে নদীটি চারঘাট-বাঘাতিপাড়ার সীমানা বরাবর প্রবাহিত হচ্ছে। পূর্বে এটি নারদ আর বড়ালের সংযোগ রক্ষাকারী একটি খাল ছিল। পরে ১৮৩৮ সালে পদ্মার বন্যায় এর বিস্তৃতি ঘটতে থাকে। আর এভাবেই নদীর মর্যাদা পায় মাসা খান খাল। শোনা যায় বার ভূঁইয়াদের নেতা ঈসা খানের পুত্র মুসা খান নৌ চলাচলের উদ্দেশ্যে এই খাল খনন করেন। মুসা খান নদ ঝলমলিয়া বাজারের নিকট নারদের সাথে মিলিত হয়েছে। মিলিত ধারা আরো কিছুদূর অগ্রসর হয়ে হোজা নদীর সাথে মিলিত হয়। তারপর মিলিত ধারা গদাই নাম ধারণ করে আদি গ্রাম চন্দ্রকোলার দিকে ধাবিত হয়। অতপর গদাই নামে বারনই নদীতে পতিত হয়। মুসা খান নদ থেকে নারদের দ্বিতীয় প্রবাহটি বের হয়ে নাটোরের দিকে ধাবিত হয়েছে।
রাজশাহীর সর্বশেষ মৃত নদীর নাম মুসা খান নদ। বর্তমানে মুসা খানের অবস্থা বেশ সঙ্গিন। চারঘাটে বড়ালে স্লুইচ গেট দেওয়ার আগে মুসা খান ছিল উত্তাল। কিছু দিন পূর্বেও মুসা খানের উত্তালতার নিদর্শন দেখেছে এলাকাবাসী। উৎস মুখ ত্রিমহনীতে আরেকটি স্লুইচ গেট দিয়ে মুসা খানের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। পূর্বে নদে বড় বড় নৌকা চলত। বছর ত্রিশেক আগেও মুসা খান সচল নদী ছিল। সরকারের ভুল নীতি মুসা খানের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও মুসা খান আর নারদে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা যায়নি। উল্লেখ্য নারদে পানি প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষে কয়েক বছর আগে মুসা খান খনন করা হয়। বড়াল হয়ে পানি মুসা খানে আসবে। পরে সেই পানি যাবে নারদে। কিন্তু নদী খননের পরেও বাধঁ অপসরণ না করায় মুসা খানে আর বড়ালে পানি যাচ্ছে না। শুধু বর্ষা কালের বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে কিছু দিন কাজে লাগানো হচ্ছে। আবার নদী খননের সময় নদীর আকার গিনিপিগ বানানো হয়েছে। দখলদারদের সুবিধা প্রদানের লক্ষেই এই কার্যক্রম চালানো হয়েছে।
ব্লগ লিখেছেনঃ মোঃ আরিফুল ইসলাম অভি
#নিরিবিলি
কৃতজ্ঞতা প্রকাশঃ
রাজশাহীর ইতিহাস; কাজী মোঃ মিছের
আমার পুঠিয়া
সত্যিই দারুন
উত্তরমুছুন