সরদহ সরকারী/সরকারি মহাবিদ্যালয় (Sardah Degree College)




















সরদহ সরকারী মহাবিদ্যালয়ঃ সরদহ সরকারী মহাবিদ্যালয় চারঘাটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ। ৩ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হলে আশপাশের এলাকার শিক্ষার্থীরা সবাই এই কলেজে এসে শিক্ষা লাভ করতে থাকে। এই কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে এটি চারঘাট বাসীর বিদ্যাপীঠে পরিণত হয়। কলেজে বাঘা, পুঠিয়া, লালপুর, বরাইগ্রা সহ রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের অনেকেই এসে খানের্তি হত। উল্লেখ্য যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বৃহত্তর চারঘাট থানার কোন কলেজ ছিল না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ১৯৭২ইং সালে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীতে সহকারী পুলিশ সুপার ( শিক্ষানবীস) দের সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করতে আসেন।উক্ত সময়ে অবিভক্ত চারঘাট থানায় কোন মহাবিদ্যাকয় প্রতিষ্ঠিত হয় নি। তারই ধারাবাহিকতায় সারদায় একটি মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্টা করার জন্যে মহামান্য রাষ্টপতির নিকট প্রস্তাব পেশ করেন, তৎকালীন মাননীয়, সাংসদ ডা: আলাউদ্দীন, সারদা ইউনিয়ন ও চারঘাট পৌরসভার সাবেক সফল চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জমান মো: আনোয়ার হোসেন, তৎকালীন সারদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আজিজার জোয়ার্দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাসাদ্দাক হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবু বাকার, গিয়াস উদ্দীন মন্ডল,১৯৭২ সালে রাজশাহী সফরে এলে আনোয়ার হোসেন, গিয়াস উদ্দিন মণ্ডল সহ আরো ।অনেকেই বঙ্গবন্ধুর নিকট একটি কলেজের প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। বঙ্গবন্ধুর তাঁর বিশ্বস্ত অনুচর ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম কামরুজ্জামান হেনাকে বিষয়টি দেখতে বলেন। অবশেষে র চেষ্টায় প্রতিষ্ঠা লাভ করে কলেজটি।তৎকালীন পূনর্বাসন মন্ত্রী জনাব এ,এইচ,এম কামরুজ্জামান ১৯৭২ ইং সালে সরদহ মহাবিদ্যালয় টি উদ্বোধন করেন। কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন পুলিশ একাডেমীর তৎকালীন ডিইজি বিগ্রেডিয়ার জনাব মো: গোলাম কিবরিয়া ও সম্পাদক ছিলেন সাবেক পৌর চেয়ারম্যান জনাব মো: আনোয়ার হোসেন। কামরুজ্জামান হেনা ৪০ বান্ডিল টিন প্রদান করেন। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীর পক্ষ থেকে সেসময় কলেজকে ৭.৫ বিঘা জমি প্রদান করা হয়। এছাড়াও হলিদাগাছী এলাকার জনাব ওসমান আলী নামের একজন ব্যাক্তি সেই সময়ে মহাবিদ্যালয়ের সাধারন তহবিলে নগদ ১০,০০০ টাকা প্রদান করেন। সেই সময়ে বিঘা প্রতি জমি বিক্রয় হতো ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। মুলেজ ভবনটি তৎকালীন সরদহ উনিয়নের পাশে, উনিয়ন পরিষদের দেওয়া জমিতে গড়ে উঠেছিল। বর্তমানে চারতলা বিশিষ্ট একটি নতুন ভবন নির্মাণাধীন আছে। প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন। বর্তমান অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) শাহনেওয়াজ বেগম। ১৯৭৪ সালে কলেজটি পাঠদানের অনুমতি পায়। ১৯৮৯ সালে এটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত একটি কলেজে পরিণত হয়। বর্তমানে সেখানে প্রায ২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। উচ্চ মাধ্যমিকের পাশাপাশি এখানে বি এ পাশ ও অনার্স কোর্স চালু আছে। পঠিত বিষয় ২২টি। অনার্সের বিষয় সমূহ হল সমাজ বিজ্ঞান, বাংলা, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ও রাষ্ট্র বিজ্ঞান। শিক্ষা অনুষদ ৪টি। এই কলেজে বিএনসিসি কোর্স চালু আছে। মোট শিক্ষক ৭৩ জন। অফিস সহকারী ৫ জন। প্রশাসনিক স্টাফ ২ জন। ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী ১৪ জন। মোট জমির পরিমান ৫.১৭ একর।প্রথম ছাত্র সংসদে ভিপি নির্বাচিত হন মরহুম নৈয়ব আলী, আর জিএস হন জনাব হাসানুজ্জামান মধু। ২০১৬ সালের ৩০ জুলাই সরকার ১৯৯টি কলেজ সরকারী ঘোষনা করলে সরদহ মহাবিদ্যালয় সেই তালিকায় স্থান করে নেয়। প্রায় ২ বছর পরে অবশেষে ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে সরকারী করণের  প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। জাতীয় করণের পর থেকে আশপাশ থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ই কলেজে এসে ভর্তি হচ্ছে। সকাল থেকেই কলেজ ক্যাম্পাসে তৈরি হয় তারুণের কলধ্বনি।

 Charghat Students' Welfare Association
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ:
এস এম আবু সাইদ    
ব্লগ লিখেছেনঃ মোঃ আরিফুল ইসলাম অভি
অর্থনীতি বিভাগ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
#নিরিবিলি




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চারঘাটের নদ-নদী, ১ম পর্বঃ গঙ্গা/পদ্মা নদী (Ganges/Padma River)

বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী/একাডেমি, সারদা (Bangladesh Police Academy)

সরদহ সরকারী/সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (Sardah Govt. Pilot High School)